সীতাকুণ্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কায় মাইক্রোবাসের দুই আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হন। দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাস দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গতকাল সোমবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-
নারায়ণগঞ্জের সৈয়দপুর এলাকার হাজী কালামিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৬২) এবং আনোয়ার হোসেনের শ্যালিকা ঢাকা বংশাল থানার নাজিরা বাজার এলাকার মো. ইমতিয়াজ হোসেনের স্ত্রী বিবি রহিমা হোসেন (৫৬)।
এ দুর্ঘটনায় আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন কাজী রিয়াদ (৩৪),জসিম(২৩),আব্দুস সালাম(১৫), কহিনুর বেগম(৩০) এবং মাইক্রোবাসটির চালক। তাৎক্ষণিকভাবে চালকের নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকার নাজিরা বাজার থেকে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে পরিবার ও আত্মীয়স্বজন নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন আনোয়ার হোসেন। মাইক্রোবাসটি মহাসড়কের ফৌজদারহাট এলাকা অতিক্রমকালে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রহিমা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আনোয়ার হোসেনের ছেলে তালহা বলেন, দুর্ঘটনায় আমার বাবা ও খালা মারা গেছেন। কক্সবাজার ভ্রমণের আনন্দ মুহূর্তে বিষাদে রূপ নিয়েছে। সাথে থাকা দুই স্বজন মুহূর্তে হারিয়ে গেছে এটি তারা মানতে পারছেন না।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, মাইক্রোবাসচালক ঘুম চোখে গাড়ি চালানোর কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Comments are closed.